দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—গত দুই মাসে তিন সংস্করণেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) থেকেও দুঃসংবাদ শুনল এশিয়ার দলটি।
এই স্বপ্ন তিনি দেখছেন কৈশোর থেকে। মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে নেতৃত্বগুণ বিসিবি খুঁজে পেয়েছিল অনেক আগে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে তাঁকে দলের অধিনায়ক করা সে কারণেই। ২০১৬ সালে যুব বিশ্বকাপ বাংলাদেশ খেলেছে তাঁরই নেতৃত্বে। যে মিরাজের মধ্যে ভবিষ্যতের নেতা খোঁজা হচ্ছিল, সেই তিনি বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযো
রহমানউল্লাহ গুরবাজ স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার পরপরই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চোখ ছলছল করতে থাকে। তাঁর চোখ অশ্রুসিক্ত হওয়ার কারণ কী, সেটা হয়তো অনেকেই বুঝেছেন। মাত্র ২ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি তিনি। তবু মাহমুদউল্লাহর এই ইনিংস মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে।
শরীফুল ইসলামের বলটা লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শারজার গ্যালারিতে বল আছড়ে পরার সঙ্গে সঙ্গেই ওমরজাইয়ের গর্জন। হওয়ার কারণও তো আছে। এই ছক্কায় ম্যাচ তো আফগানিস্তান জিতলই। একই সঙ্গে সিরিজটাও বাংলাদেশের থেকে নিয়ে গেল আফগানরা।
শারজায় অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ লড়ছে আফগানিস্তানও। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত ২৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান করেছে তারা। বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে রইলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৭২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত আছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তাঁর সঙ্গে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ব্যাটিং করছেন ১১ রানে।
সুযোগের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, সেটা বোধ হয় তানজিদ হাসান তামিম জানেন না। কারণ জীবন পেয়ে যেখানে ইনিংস বড় করার কথা, সেখানে তিনি ফিফটিও করতে পারছেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৯ বলেই শেষ তাঁর ইনিংস।
শারজায় এই সিরিজে যে দল টস জিতছে, সে-ই তাহলে ম্যাচ জিতছে। প্রথম ম্যাচে টস জিতল আফগানিস্তান, ম্যাচও তাদের। গত পরশু দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতেছে, ম্যাচও জিতেছে।
নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শঙ্কাটা আগে থেকেই ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো সত্যি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে পারছেন না বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক।
হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশ গত রাতে শারজায় পেল স্বস্তির জয়। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ।
প্রায় ১ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা দারুণভাবে রাঙালেন নাসুম আহমেদ। পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর শারজায় গত রাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে নেমেই করলেন বাজিমাত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চাপ, বিষম চাপ। সেই চাপকে জয় করে যাঁরাই ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন, তাঁরাই নিজেদের নিতে পেরেছেন সেরার তালিকায়। আর যাঁরা চাপে ভেঙে পড়েছেন, তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন পথ!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের জয়ে শারজায় প্রথম জয়ের ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের এই জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তারপরও এই ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের সিরিজে ফেরার লড়াই, আফগানদের সিরিজ জেতার আশা—আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেকে একবাক্যে এভাবেই দেখানো যায়। জেতার মতো অবস্থানে থেকেও প্রথম ওয়ানডে হেরে যাওয়ায় চাপের মধ্যে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের সঙ্গে জিততেই তো ভুলে গেছে বাংলাদেশ। ভেন্যু বদলায়, সংস্করণ বদলায় কিন্তু ফলটা থেকে যায় একই। শারজায় পরশু রাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ তাতে খুব একটা বিচলিত নন।
কোনো সিরিজ চলার সময় অবসরের ঘোষণা দেওয়া তো নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ চলার সময় তেমনই কাজ করলেন মোহাম্মদ নবী। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডেতে আর দেখা যাবে না আফগান এই অলরাউন্ডারকে।
রীতিমতো অবিশ্বাস্য, এ অদ্ভুত এক ধস! ২ উইকেটে রান ১২০। তাদের দরকার আর ১১৪ রান। হাতে ৮ উইকেট, পড়ে আছে ২৪ ওভারেরও বেশি। এই সময়ে বাজির দরে কোনোভাবেই বোলিং দল এগিয়ে থাকবে না, থাকবে ব্যাটিং দল।